About Image
Bayyinah Ideal School

পাঠদান পদ্ধতি

 
বাইয়্যিনাহ স্কুলের কারিকুলাম মূলত তিনটি ধারায় বিন্যস্ত : ১) প্লে- কেজি (প্রাক-প্রাথমিক) ২)    ১ম  ৫ম (প্রাথমিক) ৩)    ৬ষ্ঠ ১০ম (মাধ্যমিক)

প্লে কেজি শ্রেণি (প্রাক-প্রাথমিক)


এই পর্যায়ে মূলত তিনটি আলাদা বিষয়ে অক্ষরজ্ঞান থেকে শুরু করে রিডিং পড়া ও লেখার দক্ষতা অর্জনের শিক্ষা দেওয়া হয়। বিষয়গুলো হলো—ইংরেজি, বাংলা, ও গণিত। এই পর্যায়ের বইগুলো বাইয়্যিনাহ প্রকাশনীর নিজস্ব বই। বইগুলো শিশুদের উপযোগী করে চিত্তাকর্ষকভাবে রচিত। 

 

বাংলা 


বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, হয়তো এজন্যই অনেকে এটাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু এ কথা সর্বজনবিদিত মাতৃভাষায় দক্ষতা ছাড়া বিদেশী ভাষায় দক্ষতা অর্জন সম্ভবপর নয়, বরং অনেকাংশেই অসম্ভব। কেননা আমাদের দেশে বিদেশী ভাষা শেখার প্রধান মাধ্যম হলো মাতৃভাষা (কিছুসংখ্যক ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ব্যতিক্রম হতে পারে)। এজন্য বাইয়্যিনাহ শিশুদেরকে শুরু থেকেই মাতৃভাষায় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য এই পর্যায়ে (প্লে-কেজি) পড়া ও লেখা আয়ত্তের উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়। দেখে দেখে পড়ার (রিডিং পড়া) দক্ষতা এই পর্যায়ে না বাড়াতে পারলে পরবর্তীতে বহু বিষয়ের চাপে বাংলা রিডিং পড়ার গুরুত্ব কমে যায় এটা প্রমাণিত। তাই আমরা কেজি শেষ করার সাথে সাথে যেকোন বাংলা গল্প, কবিতা, বা লেখা যেনো শিক্ষার্থী দেখে দেখে পড়তে সক্ষম হয় এর প্রতি বিশেষ যত প্রদান করি। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যই বাইয়্যিনাহ পাবলিকেশন্স তার নিজস্ব গবেষণাধর্মী বই দিয়ে শিক্ষার্থীকে পাঠদান করে থাকে।

প্লেনার্সারি 


এই শ্রেণিতে শুধু বর্ণের সাথে পরিচয় করানো হয় ও লেখা শেখানো হয়। এই লক্ষ্য পূরণে আমাদের মানসম্মত ও চিত্তাকর্ষক বইগুলো দারুণ কার্যকর। বর্ণ ও শব্দ শেখানোর ক্ষেত্রে আমরা বাক্যভিত্তিক উদাহরণের চেয়ে শব্দভিত্তিক উদাহরণকে গুরুত্ব দেই, কেননা শব্দের ভেতর থেকে বর্ণকে বাছাই করা শিশুদের জন্য তুলনামূলক সহজ। একই পাঠে বর্ণ শেখার সাথে সাথে তারা বর্ণ লেখার কৌশলও রপ্ত করবে, এতে বর্ণের চিত্র তাদের হৃদয়পটে সহজে গেঁথে যাবেÑ যা হবে খুবই চমকপ্রদ।  

কেজি


এই শ্রেণিতে আমরা বাংলা ভাষা দেখে দেখে পড়ার (রিডিং পড়া) জন্য প্রতিটি নিয়মকে আমাদের নিজস্ব বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সাজিয়েছি, যা সচারচার দেখা বিরল বলে আমাদের বিশ্বাস। এমনভাবে বইটিকে সাজানো হয়েছে যে বইটি কোন শিক্ষার্থী শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কয়েকবার রিডিং পড়লে সে বাংলা ভাষায় রচিত যে কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, খবরের কাগজ ইত্যাদি সাবলীলভাবে পড়তে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ। 

ওয়ার্ক শিট


নার্সারির শিক্ষার্থীদের জন্য বর্ণ পরিচয়ের পাশাপাশি বর্ণগুলো লিখতে পারার দক্ষতা অর্জন খুবই গরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য একেবারে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেছি। সহজে লেখা আয়ত্ব করার জন্য আমরা নিজস্ব বিশেষ ওয়ার্কশিট তৈরি করেছি যেগুলো শিক্ষার্থীদের বর্ণগুলো লেখা শিখতে খুবই কার্যকর। ওয়ার্কশিট ব্যবহার করে শিশুরা অল্প মেধা খাটিয়েই বর্ণগুলো লেখা শিখতে সক্ষমতা অর্জন করে।
কেজি শ্রেণিতেও ওয়ার্কশিট প্রদান করা হয়। এই ক্লাসে ওয়ার্কশিট দেওয়ার মূল কারণ হলো শিক্ষার্থীদের হাতের লেখা সুন্দর হওয়া। এই ক্লাসের ওয়ার্কশিট ব্যবহার করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সবধরণের শব্দ লিখতে শেষে, বিশেষ করে বাংলা বর্ণগুলোর মাত্রা ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

প্রথম - পঞ্চম শ্রেণি


এই পর্যায়ে প্রথম ও ২য় শ্রেণিকে বাংলা বর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। এই দুই বছরে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে বাংলা ভাষায় দক্ষতা বাড়াতে [পঠন (Reading) ও অনুধাবন (Understanding)  সক্ষমতা] বিভিন্ন গল্প পড়ার উপর গুরুত্ব প্রদান করে থাকি। কেননা অধিক গল্প পাঠের মাধ্যমেই শিক্ষার্থী বাংলা ভাষার (যদিও এটা মাতৃভাষা) বিভিন্ন শব্দ ও বাক্যরীতি জানতে পারবে, পরবর্তীতে মাতৃভাষার দক্ষতা তাকে ইংরেজি ও আরবির মতো বিদেশী ভাষা শিক্ষতে সহায়তা করবে। বাইয়্যিনাহ পাবলিকেশন্স বাংলা ভাষায় দক্ষতা বাড়ানোর জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য নৈতিক শিক্ষাসমৃদ্ধ বিভিন্ন গল্প দিয়ে নিজস্ব পঠনসহায়ক (Reading Circle Style) বই তৈরি করেছে যা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে মজার সাথে পড়ানো হয়। এসকল গল্প পড়তে পড়তেই শিশুরা নিজের অজান্তেই মাতৃভাষাতে অধিকতর দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হয়ে ওঠে।

ইংরেজি (English)



ইংরেজি বিদেশী ভাষা। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীর বাস্তবতায় এটাকে মাতৃভাষার চেয়েও বেশি গুরুত্ব প্রদান করা হয়। এই অধিক গুরুত্ব প্রদান করতে গিয়ে অনেক অভিভাবকই ভুল করে বসেন। শিশুকে তার শিক্ষাগ্রহণের শুরুতেই অযথা ইংরেজি চাপিয়ে দেওয়া শুরু করেন যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। আমরা বাইয়্যিনাহ স্কুল ইংরেজির ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিকল্পনায় এগিয়ে যাই। এক্ষেত্রে মাতৃভাষা বাংলার মতো এখানেও শ্রেণিভিত্তিক পরিকল্পনা রয়েছে।

প্লে-নার্সারি

মাতৃভাষার মতো এই দুই শ্রেণিতেও একই লক্ষ্য পূরণে আমাদের নিজস্ব বই রচনা করা হয়েছে। এই দুই শ্রেণিতে আমরা শিশুদেরকে ইংরেজি ভাষার বর্ণ পরিচয় ও বর্ণ লিখতে পারার দক্ষতা অর্জনে বদ্ধপরিকর। 

এই দুই শ্রেণিতেও বাংলার মতো একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ বর্ণ শেখার সাথে সাথে এর লেখার কৌশলও শিখবে। এছাড়া বাংলার মতো এখানেও বর্ণ শনাক্তকরণের বোলাতে শব্দরীতি অনুসরণ করা হয়েছে বাক্যরীতি নয়। 

কেজি
 

কেজি শ্রেণিটা আমাদের রিডিং পড়া (Reading) শেখার সময়। বাংলার মতো এখানেও আমরা ইংরেজি রিডিং কৌশল অর্জনের জন্য বৈজ্ঞানিক কৌশল প্রয়োগ করেছি। রিডিং পড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা ইংরেজি শব্দের সঠিক উচ্চারণের প্রতি বিশেষ খেয়াল রেখেছি,  কেননা কোন শব্দ প্রথমবার পড়ার সময় ভুল উচ্চারণে পড়লে সারাজীবন সেই ভুলটা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইংরেজি উচ্চারণের জন্যও আমরা বইটিতে বিশেষ কৌশল শেখানোর প্রচেষ্টা চালিয়েছি।

প্রথম - পঞ্চম শ্রেণি

এই পর্যায়ে ২য় ও ৩য় শ্রেণিকে মূলত ইংরেজি শেখার বর্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দুই শ্রেণিতে ইংরেজি গল্প পড়ে তা অনুধাবন করার জন্য বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি সহায়ক বই প্রদান করা হয়। বাইয়্যিনাহ পাবলিকেশন্স প্রণিত এই সহায়ক বইগুলোতে বিভিন্ন নৈতিকশিক্ষাসমৃদ্ধ গল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে ইংরেজি পঠন  (Reading) ও অনুধাবনের (Understanding) প্রতি জোর প্রদান করা হয়। শ্রেণিকক্ষে অতিরিক্ত পাঠের মাধ্যমে শিক্ষকের সাথে শিক্ষার্থীরা গল্পগুলো পাঠ করে মজার সাথে সাথে ইংরেজিভীতি দূর করতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ। 

গণিত

গণিত বিষয়টি মূলত বোঝার বিষয়, এই বিষয়ে যতটা না মুখস্ত করতে হয় তার চেয়ে বেশি বুঝতে হয়। তাই আমরা শিশুদের মোটামোটি বোঝার বয়স পর্যন্ত জটিল বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। শুরুর শ্রেণিগুলোতে শুধু সংখ্যা পরিচয়, যোগ-বিয়োগের ধারণা ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়েছি। 

প্লে-কেজি


এই ক্লাস গুলোতে আমরা শুধু সংখ্যা পরিচিতি, বিভিন্ন ধারণা (যেমন- বড়-ছোট, পরিমাপ, ইত্যাদি), মাস-দিনের পরিচয় ইত্যাদি অপেক্ষাকৃত সহজ বিষয়গুলো দিয়ে সাজানো হয়েছে, এমনকি গুণের ধারণাও এখানে স্থান দেওয়া হয়নি। বাজারের অনেক বইতে (এমনকি কেজি শ্রেণিতে) গুণ ও ভাগের ধারণা, এমনকি অংক পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে, নামতা শেখানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে যা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য তো নয়ই বরং ক্ষতিকর। ফলে শুরুতেই তাদের মধ্যে গণিতভীতি চলে আসে। 
কথায় লেখার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ক্ষেত্রে দৃষ্টি রাখা হয়েছে। আমরা খেয়াল করেছি বাজারে প্রচলিত অনেক প্রাক-প্রাথমিক গণিত বইতে প্রথমেই সংখ্যার কথায় লেখা সাজানো হয়েছে; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যেখানে একই শ্রেণির বাংলা বইয়ে শিশু বাংলা বর্ণ পরিচয় জানে না বা শেখার চেষ্টা করছে, লেখাতো তখনো দূরের বিষয়, সেখানে গণিত বইতে লেখার ধারণা অতিরঞ্জিত বিষয় বটে এটাও শিশুদের শুরুতেই গণিতভীতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

প্রথম - পঞ্চম শ্রেণি


এই শ্রেণিগুলোতে আমরা বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি পাঠদানে সহায়ক নিজস্ব বিশেষ উপকরণের মাধ্যমে পাঠদান করে থাকি। একথা সর্বজনস্বীকৃত যে উপমহাদেশের গণিত বইগুলো একই শ্রেণির পাশ্চাত্যের বইগুলোর চেয়ে অনেক মানসম্মত ও জটিলতর। তাই বোর্ড বইয়ের সঠিক সমাধান ও অনুধাবন করতে পারলে গণিত সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আমরা মূলত চতুর্থ শ্রেণিকে গণিতবর্ষ ঘোষণা করেছি। এই শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা বোঝার মতো একটা বয়সে উপনীত হয়, তাদেরকে বোঝানো সহজতর হয়। আমরা চতুর্থ শ্রেণিতে গণিতের সকল বিষয়কে (প্রাথমিক স্তরের) বোঝানো জন্য সহায়ক সমস্ত কিছু প্রদান করে, এমনকি অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে শিক্ষার্থীদেরকে গণিত বুঝানোর জন্য সচেষ্ট। আশা করা যায় চতুর্থ শ্রেণিতে গণিতের ধারণাগুলো একবার রপ্ত করতে পারলে সামনের শ্রেণিগুলোতে গণিতে সে শুধু মজাই পাবে ভয় নয়।
 

ষষ্ঠ - দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক)


মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিকুলাম পুরোপুরি NTCB কারিকুলাম দ্বারা পরিচালিত। এই পর্যায়েও বিভিন্ন শ্রেণিতে অতিরিক্ত নিজস্ব বই ও গাইডলাইনের মাধ্যমে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ICT ও সাধারণ জ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তৈরি করা হয়। যেহেতু কুরআন ও ইসলাম শিক্ষার জন্য আরবী ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম, তাই ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে আরবী ভাষাকে NTCB কারিকুলামের পাশাপাশি আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই দুই শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা আরবী ভাষায় পড়া, লেখা, অনুধাবন ও কথোপকথনে পারদর্শী হয়ে উঠে। 
এই পর্যায়ে বিদেশী ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কারিকুলাম গ্রহণ করা হয়। ইংরেজির ক্ষেত্রে বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে কথোপকথনে পারদর্শি করার জন্য সাপ্তাহিক কথোপকথন ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। ভাষাকে আয়ত্ত করতে হলে রিডিং এর বিকল্প নেই, আর কথপোকথনে দক্ষতা অর্জন করতে হলে প্র্যাকটিসের বিকল্প নেই। তাই দুটোর ক্ষেত্রেই সমান গুরুত্ব প্রদান করা হয়। 
৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে নৈতিকতাবোধ ও আদর্শ মানুষ হিসেবে আমাদের জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে বারংবার শিক্ষর্থীদেরকে উপদেশ প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিমাসে অন্তত একবার সফল ও গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানী ব্যক্তির উপদেশ শোনানো ব্যবস্থা করা হয়। এই সময়গুলোই শিক্ষার্থীদের পরবর্তী জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করার সময়। এই সময়টুকুতে যদি তারা নৈতিকতা ও মূল্যবোধ না শিখতে পারে তবে সারাজীবন উদ্দেশ্যহীন ও মূল্যবোধহীন অবস্থায় চলতে থাকবে। আমরা এখানে বোঝানোর চেষ্টা করবো দুনিয়া অর্জনের ক্ষেত্রে ইসলাম কোন বাধা নয়, বরং সহায়ক। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় স্থানে সফল হতে বলেছেন। আমাদের পূর্বসূরীরা সবাই ইসলামী মূল্যবোধ ধারণ করে সারা পৃথিবীকে শাসন করেছেন, সম্মানিত হয়েছেন। 

কুরআন ও দ্বিনীয়্যাত কারিকুলাম


কুরআন ও দিনীয়্যাত কারিকুলাম দুটি আলাদা বিভাগে পরিচালিত। যথা— ক) কুরআনুল কারীম ও খ) দ্বিনীয়্যাত বা তারবিয়্যাহ ।


কুরআনুল কারীম


এই বিভাগে কুরআনুল কারীম পড়তে ও হিফজ করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এখানে কায়দা, আমপাড়া থেকে শুরু করে কুরআনুল কারীমের গুরুত্বপূর্ণ পারা ও সূরা হিফজ করার জন্য নিজস্ব সিলেবাস রয়েছে। একজন শিক্ষার্থী যে শ্রেণিতেই ভর্তি হোক না কেন তার কুরআন ক্লাস কায়দা থেকে শুরু করা হয়। বাংলা ও ইংরেজির মতো এখানেও প্রথমে বর্ণ পরিচয় এবং পরে রিডিং পড়ার (নাযেরা) দক্ষতা অর্জন শেখানো হয়। তাই এই শ্রেণি কয়েকটি স্তরে সাজানোÑ ক) বর্ণ পরিচয় খ) দেখে দেখে পড়ার দক্ষতা অর্জন গ) মুখস্তকরণ (হিফজ)। যেহেতু কুরআন আল্লাহর কালাম তাই এটি শুদ্ধভাবে পড়ার কোন বিকল্প নেই, এটি শুদ্ধভাবে পড়ার সাথে অন্যান্য ইবাদতের গ্রহণযোগ্যতাও জড়িত। তাই বর্ণ পরিচয় ও রিডিং পড়ার ক্ষেত্রে আমরা খাঁটি নূরানী পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকি। 
তৃতীয় স্তরে (হিফজ) আমরা সিলেবাসভিত্তিক অগ্রসর হবো। এই স্তরটি কতগুলো নতুন স্তরে সাজানো। শিক্ষার্থী প্রতিটি স্তর শেষ করে পরের স্তরে উত্তীর্ণ হবে। যেমন;
    প্রথমত সূরা ফাতেহা এবং সূরা ফিল থেকে সূরা নাস পর্যন্ত মুখস্ত করানো হবে।
    দ্বিতীয়ত সমগ্র ত্রিশতম পারা (আম্মাপারা) মুখস্ত করানো হবে।
    তৃতীয়ত সূরা মুলক, ওয়াকিয়াহ, হাদীদ, আর-রহমান ও সূরা ইয়াসিন মুখস্ত করানো হবে।
    চতুর্থত সূরা সিজদাহ, সূরা হামীম-সিজদাহ, সূরা ফুরকানসহ সমগ্র ২৯তম পারা মুখস্ত করানো হবে। 
    পঞ্চমত সূরা লুকমান, আম্বিয়া, কাহাফ, ইউসূফসহ সমগ্র ২৮তম পারা মুখস্ত করানো হবে। 
    ষষ্ঠত সূরা বাকারাহ থেকে শুরু করে অন্যান্য অংশগুলো মুখস্ত করানো হবে।

জাগতিক জ্ঞানকে বাদ দিয়ে শুধু ধর্মীয় জ্ঞান যেমন পরিপূর্ণ নয়, অনুরূপভাবে ধর্মীয় জ্ঞানকে বাদ দিয়ে জাগতিক জ্ঞানও কল্যাণকর নয়। বাইয়্যিনাহ
কুরআন মুখস্তকরণের ক্ষেত্রে কোনরকম চাপ প্রয়োগ করা হয় না, বরং শিক্ষার্থী যতটুকু নিতে পারবে ততটুকু। একটি স্তর সমাপ্ত করার পরে অন্য স্তরে উত্তীর্ণ হবে, এক্ষেত্রে একাডেমিক শ্রেণি বিবেচ্য নয়। এই বিভাগে কোন পাশ-ফেল নেই, এটা শুধুই ধর্মীয় উদ্দেশ্যে।  

দ্বিনীয়্যাত ও তারবিয়্যাহ 


এই ক্লাসে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে তার ইসলাম শিক্ষা বইয়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত বই বা গাইডলাইনের মাধ্যমে প্রাত্যহিক মাসনুন আমালিয়াত (কুরআন ও হাদীসের আলোকে) শিক্ষা দেওয়া হয়। ১ম শ্রেণি থেকে প্রতিটি আমলের ব্যবহারিক প্রয়োগ শিক্ষা দেওয়া হয়। যেহেতু এটা একটি প্রচারণামূলক পুস্তিকা, তাই কুরআন ও হাদীসের সম্মানার্থে এখানে দ্বিনীয়্যাত বইয়ের কোন নমুনা দেওয়া হলো না। শুধু কিছু আলোচনা করা হলো।


দোয়া


শিক্ষার্থীদেরকে দৈনন্দিন দোয়ার পাশাপাশি কুরআনুল কারীম থেকে বাছাইকৃত নবী (আ.) ও সালেহীন বান্দাদের দোয়া শেখানো হবে, চল্লিশ রাব্বানা মুখস্ত করানোর চেষ্টা করানো হবে।
 
ব্যবহারিক আমল


নামাজ, রোজা, যাকাত, হজ্জ ইত্যাদি ব্যবহারিক আমলগুলোর প্রয়োজনীয় দোয়া ও পদ্ধতি ব্যবহারিকভাবে শেখানো হবে। তাকে একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলা হবে, ইনশাআল্লাহ।
 
দ্বিনীয়্যাত ক্লাসও কুরআন ক্লাসের মতো কোন পাশ-ফেল নেই; বরং শিক্ষার্থীর উন্নতিই বিবেচ্য। শিক্ষার্থীদের মনোরম ও ভয়হীন পরিবেশে এগুলো শেখানোর প্রচেষ্টা করা হয়, কোনরকম অতিরিক্ত চাপ প্রযোজ্য নয়। 

অন্যান্য বিষয়


একাডেমিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুকুমার বৃত্তিগুলোকে প্রস্ফুটিত করতে অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন- আর্ট ক্লাস, সংগীত ক্লাস (দেশাত্মবোধক, গজল, হামদ-নাত ইত্যাদি), বিজ্ঞান মেলা, শিক্ষাসফর ইত্যাদি। কেননা এটা সর্বজনবিদীত যে “Exhibition is far better than memorizing”। একটি জিনিস দশবার পড়েও যেখানে মনে রাখা যায় না, সেখানে মাত্র একবার দেখলে তা স্মৃতিপটে গেঁথে যায়। এজন্য দেখে শেখার বিষয়টির (Visualization) প্রতি আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। 

তাই, আসুন, বাইয়্যিনাতেই আসুন। আপনার সন্তানকে শুধু শিক্ষা নয় বরং সুশিক্ষায় বড় করে তুলুন। আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। যে মহান উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা পৃথিবীতে এসেছি বা আমাদের প্রেরণ করা হয়েছে আপনার সন্তানকে তা থেকে দূরে সড়িয়ে রাখবেন না। আমরা পরকালের রঙে দুনিয়া রঙিন করবো, দুনিয়া নিয়ে আখিরাতকে সাজাবো। আখিরাতের অন্তন জীবনে আমরা যেন বঞ্চিত না হই এবং কাউকে বঞ্চিত না করি।

headmaster Image

Md. Nasir bin ismail

পাঠদান পদ্ধতি

 
বাইয়্যিনাহ স্কুলের কারিকুলাম মূলত তিনটি ধারায় বিন্যস্ত : ১) প্লে- কেজি (প্রাক-প্রাথমিক) ২)    ১ম  ৫ম (প্রাথমিক) ৩)    ৬ষ্ঠ ১০ম (মাধ্যমিক)

প্লে কেজি শ্রেণি (প্রাক-প্রাথমিক)


এই পর্যায়ে মূলত তিনটি আলাদা বিষয়ে অক্ষরজ্ঞান থেকে শুরু করে রিডিং পড়া ও লেখার দক্ষতা অর্জনের শিক্ষা দেওয়া হয়। বিষয়গুলো হলো—ইংরেজি, বাংলা, ও গণিত। এই পর্যায়ের বইগুলো বাইয়্যিনাহ প্রকাশনীর নিজস্ব বই। বইগুলো শিশুদের উপযোগী করে চিত্তাকর্ষকভাবে রচিত। 

 

বাংলা 


বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, হয়তো এজন্যই অনেকে এটাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু এ কথা সর্বজনবিদিত মাতৃভাষায় দক্ষতা ছাড়া বিদেশী ভাষায় দক্ষতা অর্জন সম্ভবপর নয়, বরং অনেকাংশেই অসম্ভব। কেননা আমাদের দেশে বিদেশী ভাষা শেখার প্রধান মাধ্যম হলো মাতৃভাষা (কিছুসংখ্যক ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ব্যতিক্রম হতে পারে)। এজন্য বাইয়্যিনাহ শিশুদেরকে শুরু থেকেই মাতৃভাষায় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য এই পর্যায়ে (প্লে-কেজি) পড়া ও লেখা আয়ত্তের উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়। দেখে দেখে পড়ার (রিডিং পড়া) দক্ষতা এই পর্যায়ে না বাড়াতে পারলে পরবর্তীতে বহু বিষয়ের চাপে বাংলা রিডিং পড়ার গুরুত্ব কমে যায় এটা প্রমাণিত। তাই আমরা কেজি শেষ করার সাথে সাথে যেকোন বাংলা গল্প, কবিতা, বা লেখা যেনো শিক্ষার্থী দেখে দেখে পড়তে সক্ষম হয় এর প্রতি বিশেষ যত প্রদান করি। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যই বাইয়্যিনাহ পাবলিকেশন্স তার নিজস্ব গবেষণাধর্মী বই দিয়ে শিক্ষার্থীকে পাঠদান করে থাকে।

প্লেনার্সারি 


এই শ্রেণিতে শুধু বর্ণের সাথে পরিচয় করানো হয় ও লেখা শেখানো হয়। এই লক্ষ্য পূরণে আমাদের মানসম্মত ও চিত্তাকর্ষক বইগুলো দারুণ কার্যকর। বর্ণ ও শব্দ শেখানোর ক্ষেত্রে আমরা বাক্যভিত্তিক উদাহরণের চেয়ে শব্দভিত্তিক উদাহরণকে গুরুত্ব দেই, কেননা শব্দের ভেতর থেকে বর্ণকে বাছাই করা শিশুদের জন্য তুলনামূলক সহজ। একই পাঠে বর্ণ শেখার সাথে সাথে তারা বর্ণ লেখার কৌশলও রপ্ত করবে, এতে বর্ণের চিত্র তাদের হৃদয়পটে সহজে গেঁথে যাবেÑ যা হবে খুবই চমকপ্রদ।  

কেজি


এই শ্রেণিতে আমরা বাংলা ভাষা দেখে দেখে পড়ার (রিডিং পড়া) জন্য প্রতিটি নিয়মকে আমাদের নিজস্ব বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সাজিয়েছি, যা সচারচার দেখা বিরল বলে আমাদের বিশ্বাস। এমনভাবে বইটিকে সাজানো হয়েছে যে বইটি কোন শিক্ষার্থী শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কয়েকবার রিডিং পড়লে সে বাংলা ভাষায় রচিত যে কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, খবরের কাগজ ইত্যাদি সাবলীলভাবে পড়তে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ। 

ওয়ার্ক শিট


নার্সারির শিক্ষার্থীদের জন্য বর্ণ পরিচয়ের পাশাপাশি বর্ণগুলো লিখতে পারার দক্ষতা অর্জন খুবই গরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য একেবারে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেছি। সহজে লেখা আয়ত্ব করার জন্য আমরা নিজস্ব বিশেষ ওয়ার্কশিট তৈরি করেছি যেগুলো শিক্ষার্থীদের বর্ণগুলো লেখা শিখতে খুবই কার্যকর। ওয়ার্কশিট ব্যবহার করে শিশুরা অল্প মেধা খাটিয়েই বর্ণগুলো লেখা শিখতে সক্ষমতা অর্জন করে।
কেজি শ্রেণিতেও ওয়ার্কশিট প্রদান করা হয়। এই ক্লাসে ওয়ার্কশিট দেওয়ার মূল কারণ হলো শিক্ষার্থীদের হাতের লেখা সুন্দর হওয়া। এই ক্লাসের ওয়ার্কশিট ব্যবহার করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সবধরণের শব্দ লিখতে শেষে, বিশেষ করে বাংলা বর্ণগুলোর মাত্রা ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

প্রথম - পঞ্চম শ্রেণি


এই পর্যায়ে প্রথম ও ২য় শ্রেণিকে বাংলা বর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। এই দুই বছরে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে বাংলা ভাষায় দক্ষতা বাড়াতে [পঠন (Reading) ও অনুধাবন (Understanding)  সক্ষমতা] বিভিন্ন গল্প পড়ার উপর গুরুত্ব প্রদান করে থাকি। কেননা অধিক গল্প পাঠের মাধ্যমেই শিক্ষার্থী বাংলা ভাষার (যদিও এটা মাতৃভাষা) বিভিন্ন শব্দ ও বাক্যরীতি জানতে পারবে, পরবর্তীতে মাতৃভাষার দক্ষতা তাকে ইংরেজি ও আরবির মতো বিদেশী ভাষা শিক্ষতে সহায়তা করবে। বাইয়্যিনাহ পাবলিকেশন্স বাংলা ভাষায় দক্ষতা বাড়ানোর জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য নৈতিক শিক্ষাসমৃদ্ধ বিভিন্ন গল্প দিয়ে নিজস্ব পঠনসহায়ক (Reading Circle Style) বই তৈরি করেছে যা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে মজার সাথে পড়ানো হয়। এসকল গল্প পড়তে পড়তেই শিশুরা নিজের অজান্তেই মাতৃভাষাতে অধিকতর দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হয়ে ওঠে।

ইংরেজি (English)



ইংরেজি বিদেশী ভাষা। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীর বাস্তবতায় এটাকে মাতৃভাষার চেয়েও বেশি গুরুত্ব প্রদান করা হয়। এই অধিক গুরুত্ব প্রদান করতে গিয়ে অনেক অভিভাবকই ভুল করে বসেন। শিশুকে তার শিক্ষাগ্রহণের শুরুতেই অযথা ইংরেজি চাপিয়ে দেওয়া শুরু করেন যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। আমরা বাইয়্যিনাহ স্কুল ইংরেজির ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিকল্পনায় এগিয়ে যাই। এক্ষেত্রে মাতৃভাষা বাংলার মতো এখানেও শ্রেণিভিত্তিক পরিকল্পনা রয়েছে।

প্লে-নার্সারি

মাতৃভাষার মতো এই দুই শ্রেণিতেও একই লক্ষ্য পূরণে আমাদের নিজস্ব বই রচনা করা হয়েছে। এই দুই শ্রেণিতে আমরা শিশুদেরকে ইংরেজি ভাষার বর্ণ পরিচয় ও বর্ণ লিখতে পারার দক্ষতা অর্জনে বদ্ধপরিকর। 

এই দুই শ্রেণিতেও বাংলার মতো একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ বর্ণ শেখার সাথে সাথে এর লেখার কৌশলও শিখবে। এছাড়া বাংলার মতো এখানেও বর্ণ শনাক্তকরণের বোলাতে শব্দরীতি অনুসরণ করা হয়েছে বাক্যরীতি নয়। 

কেজি
 

কেজি শ্রেণিটা আমাদের রিডিং পড়া (Reading) শেখার সময়। বাংলার মতো এখানেও আমরা ইংরেজি রিডিং কৌশল অর্জনের জন্য বৈজ্ঞানিক কৌশল প্রয়োগ করেছি। রিডিং পড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা ইংরেজি শব্দের সঠিক উচ্চারণের প্রতি বিশেষ খেয়াল রেখেছি,  কেননা কোন শব্দ প্রথমবার পড়ার সময় ভুল উচ্চারণে পড়লে সারাজীবন সেই ভুলটা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইংরেজি উচ্চারণের জন্যও আমরা বইটিতে বিশেষ কৌশল শেখানোর প্রচেষ্টা চালিয়েছি।

প্রথম - পঞ্চম শ্রেণি

এই পর্যায়ে ২য় ও ৩য় শ্রেণিকে মূলত ইংরেজি শেখার বর্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দুই শ্রেণিতে ইংরেজি গল্প পড়ে তা অনুধাবন করার জন্য বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি সহায়ক বই প্রদান করা হয়। বাইয়্যিনাহ পাবলিকেশন্স প্রণিত এই সহায়ক বইগুলোতে বিভিন্ন নৈতিকশিক্ষাসমৃদ্ধ গল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে ইংরেজি পঠন  (Reading) ও অনুধাবনের (Understanding) প্রতি জোর প্রদান করা হয়। শ্রেণিকক্ষে অতিরিক্ত পাঠের মাধ্যমে শিক্ষকের সাথে শিক্ষার্থীরা গল্পগুলো পাঠ করে মজার সাথে সাথে ইংরেজিভীতি দূর করতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ। 

গণিত

গণিত বিষয়টি মূলত বোঝার বিষয়, এই বিষয়ে যতটা না মুখস্ত করতে হয় তার চেয়ে বেশি বুঝতে হয়। তাই আমরা শিশুদের মোটামোটি বোঝার বয়স পর্যন্ত জটিল বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। শুরুর শ্রেণিগুলোতে শুধু সংখ্যা পরিচয়, যোগ-বিয়োগের ধারণা ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়েছি। 

প্লে-কেজি


এই ক্লাস গুলোতে আমরা শুধু সংখ্যা পরিচিতি, বিভিন্ন ধারণা (যেমন- বড়-ছোট, পরিমাপ, ইত্যাদি), মাস-দিনের পরিচয় ইত্যাদি অপেক্ষাকৃত সহজ বিষয়গুলো দিয়ে সাজানো হয়েছে, এমনকি গুণের ধারণাও এখানে স্থান দেওয়া হয়নি। বাজারের অনেক বইতে (এমনকি কেজি শ্রেণিতে) গুণ ও ভাগের ধারণা, এমনকি অংক পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে, নামতা শেখানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে যা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য তো নয়ই বরং ক্ষতিকর। ফলে শুরুতেই তাদের মধ্যে গণিতভীতি চলে আসে। 
কথায় লেখার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ক্ষেত্রে দৃষ্টি রাখা হয়েছে। আমরা খেয়াল করেছি বাজারে প্রচলিত অনেক প্রাক-প্রাথমিক গণিত বইতে প্রথমেই সংখ্যার কথায় লেখা সাজানো হয়েছে; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যেখানে একই শ্রেণির বাংলা বইয়ে শিশু বাংলা বর্ণ পরিচয় জানে না বা শেখার চেষ্টা করছে, লেখাতো তখনো দূরের বিষয়, সেখানে গণিত বইতে লেখার ধারণা অতিরঞ্জিত বিষয় বটে এটাও শিশুদের শুরুতেই গণিতভীতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

প্রথম - পঞ্চম শ্রেণি


এই শ্রেণিগুলোতে আমরা বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি পাঠদানে সহায়ক নিজস্ব বিশেষ উপকরণের মাধ্যমে পাঠদান করে থাকি। একথা সর্বজনস্বীকৃত যে উপমহাদেশের গণিত বইগুলো একই শ্রেণির পাশ্চাত্যের বইগুলোর চেয়ে অনেক মানসম্মত ও জটিলতর। তাই বোর্ড বইয়ের সঠিক সমাধান ও অনুধাবন করতে পারলে গণিত সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আমরা মূলত চতুর্থ শ্রেণিকে গণিতবর্ষ ঘোষণা করেছি। এই শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা বোঝার মতো একটা বয়সে উপনীত হয়, তাদেরকে বোঝানো সহজতর হয়। আমরা চতুর্থ শ্রেণিতে গণিতের সকল বিষয়কে (প্রাথমিক স্তরের) বোঝানো জন্য সহায়ক সমস্ত কিছু প্রদান করে, এমনকি অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে শিক্ষার্থীদেরকে গণিত বুঝানোর জন্য সচেষ্ট। আশা করা যায় চতুর্থ শ্রেণিতে গণিতের ধারণাগুলো একবার রপ্ত করতে পারলে সামনের শ্রেণিগুলোতে গণিতে সে শুধু মজাই পাবে ভয় নয়।
 

ষষ্ঠ - দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক)


মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিকুলাম পুরোপুরি NTCB কারিকুলাম দ্বারা পরিচালিত। এই পর্যায়েও বিভিন্ন শ্রেণিতে অতিরিক্ত নিজস্ব বই ও গাইডলাইনের মাধ্যমে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ICT ও সাধারণ জ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তৈরি করা হয়। যেহেতু কুরআন ও ইসলাম শিক্ষার জন্য আরবী ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম, তাই ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে আরবী ভাষাকে NTCB কারিকুলামের পাশাপাশি আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই দুই শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা আরবী ভাষায় পড়া, লেখা, অনুধাবন ও কথোপকথনে পারদর্শী হয়ে উঠে। 
এই পর্যায়ে বিদেশী ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কারিকুলাম গ্রহণ করা হয়। ইংরেজির ক্ষেত্রে বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে কথোপকথনে পারদর্শি করার জন্য সাপ্তাহিক কথোপকথন ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। ভাষাকে আয়ত্ত করতে হলে রিডিং এর বিকল্প নেই, আর কথপোকথনে দক্ষতা অর্জন করতে হলে প্র্যাকটিসের বিকল্প নেই। তাই দুটোর ক্ষেত্রেই সমান গুরুত্ব প্রদান করা হয়। 
৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে নৈতিকতাবোধ ও আদর্শ মানুষ হিসেবে আমাদের জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে বারংবার শিক্ষর্থীদেরকে উপদেশ প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিমাসে অন্তত একবার সফল ও গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানী ব্যক্তির উপদেশ শোনানো ব্যবস্থা করা হয়। এই সময়গুলোই শিক্ষার্থীদের পরবর্তী জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করার সময়। এই সময়টুকুতে যদি তারা নৈতিকতা ও মূল্যবোধ না শিখতে পারে তবে সারাজীবন উদ্দেশ্যহীন ও মূল্যবোধহীন অবস্থায় চলতে থাকবে। আমরা এখানে বোঝানোর চেষ্টা করবো দুনিয়া অর্জনের ক্ষেত্রে ইসলাম কোন বাধা নয়, বরং সহায়ক। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় স্থানে সফল হতে বলেছেন। আমাদের পূর্বসূরীরা সবাই ইসলামী মূল্যবোধ ধারণ করে সারা পৃথিবীকে শাসন করেছেন, সম্মানিত হয়েছেন। 

কুরআন ও দ্বিনীয়্যাত কারিকুলাম


কুরআন ও দিনীয়্যাত কারিকুলাম দুটি আলাদা বিভাগে পরিচালিত। যথা— ক) কুরআনুল কারীম ও খ) দ্বিনীয়্যাত বা তারবিয়্যাহ ।


কুরআনুল কারীম


এই বিভাগে কুরআনুল কারীম পড়তে ও হিফজ করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এখানে কায়দা, আমপাড়া থেকে শুরু করে কুরআনুল কারীমের গুরুত্বপূর্ণ পারা ও সূরা হিফজ করার জন্য নিজস্ব সিলেবাস রয়েছে। একজন শিক্ষার্থী যে শ্রেণিতেই ভর্তি হোক না কেন তার কুরআন ক্লাস কায়দা থেকে শুরু করা হয়। বাংলা ও ইংরেজির মতো এখানেও প্রথমে বর্ণ পরিচয় এবং পরে রিডিং পড়ার (নাযেরা) দক্ষতা অর্জন শেখানো হয়। তাই এই শ্রেণি কয়েকটি স্তরে সাজানোÑ ক) বর্ণ পরিচয় খ) দেখে দেখে পড়ার দক্ষতা অর্জন গ) মুখস্তকরণ (হিফজ)। যেহেতু কুরআন আল্লাহর কালাম তাই এটি শুদ্ধভাবে পড়ার কোন বিকল্প নেই, এটি শুদ্ধভাবে পড়ার সাথে অন্যান্য ইবাদতের গ্রহণযোগ্যতাও জড়িত। তাই বর্ণ পরিচয় ও রিডিং পড়ার ক্ষেত্রে আমরা খাঁটি নূরানী পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকি। 
তৃতীয় স্তরে (হিফজ) আমরা সিলেবাসভিত্তিক অগ্রসর হবো। এই স্তরটি কতগুলো নতুন স্তরে সাজানো। শিক্ষার্থী প্রতিটি স্তর শেষ করে পরের স্তরে উত্তীর্ণ হবে। যেমন;
    প্রথমত সূরা ফাতেহা এবং সূরা ফিল থেকে সূরা নাস পর্যন্ত মুখস্ত করানো হবে।
    দ্বিতীয়ত সমগ্র ত্রিশতম পারা (আম্মাপারা) মুখস্ত করানো হবে।
    তৃতীয়ত সূরা মুলক, ওয়াকিয়াহ, হাদীদ, আর-রহমান ও সূরা ইয়াসিন মুখস্ত করানো হবে।
    চতুর্থত সূরা সিজদাহ, সূরা হামীম-সিজদাহ, সূরা ফুরকানসহ সমগ্র ২৯তম পারা মুখস্ত করানো হবে। 
    পঞ্চমত সূরা লুকমান, আম্বিয়া, কাহাফ, ইউসূফসহ সমগ্র ২৮তম পারা মুখস্ত করানো হবে। 
    ষষ্ঠত সূরা বাকারাহ থেকে শুরু করে অন্যান্য অংশগুলো মুখস্ত করানো হবে।

জাগতিক জ্ঞানকে বাদ দিয়ে শুধু ধর্মীয় জ্ঞান যেমন পরিপূর্ণ নয়, অনুরূপভাবে ধর্মীয় জ্ঞানকে বাদ দিয়ে জাগতিক জ্ঞানও কল্যাণকর নয়। বাইয়্যিনাহ
কুরআন মুখস্তকরণের ক্ষেত্রে কোনরকম চাপ প্রয়োগ করা হয় না, বরং শিক্ষার্থী যতটুকু নিতে পারবে ততটুকু। একটি স্তর সমাপ্ত করার পরে অন্য স্তরে উত্তীর্ণ হবে, এক্ষেত্রে একাডেমিক শ্রেণি বিবেচ্য নয়। এই বিভাগে কোন পাশ-ফেল নেই, এটা শুধুই ধর্মীয় উদ্দেশ্যে।  

দ্বিনীয়্যাত ও তারবিয়্যাহ 


এই ক্লাসে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে তার ইসলাম শিক্ষা বইয়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত বই বা গাইডলাইনের মাধ্যমে প্রাত্যহিক মাসনুন আমালিয়াত (কুরআন ও হাদীসের আলোকে) শিক্ষা দেওয়া হয়। ১ম শ্রেণি থেকে প্রতিটি আমলের ব্যবহারিক প্রয়োগ শিক্ষা দেওয়া হয়। যেহেতু এটা একটি প্রচারণামূলক পুস্তিকা, তাই কুরআন ও হাদীসের সম্মানার্থে এখানে দ্বিনীয়্যাত বইয়ের কোন নমুনা দেওয়া হলো না। শুধু কিছু আলোচনা করা হলো।


দোয়া


শিক্ষার্থীদেরকে দৈনন্দিন দোয়ার পাশাপাশি কুরআনুল কারীম থেকে বাছাইকৃত নবী (আ.) ও সালেহীন বান্দাদের দোয়া শেখানো হবে, চল্লিশ রাব্বানা মুখস্ত করানোর চেষ্টা করানো হবে।
 
ব্যবহারিক আমল


নামাজ, রোজা, যাকাত, হজ্জ ইত্যাদি ব্যবহারিক আমলগুলোর প্রয়োজনীয় দোয়া ও পদ্ধতি ব্যবহারিকভাবে শেখানো হবে। তাকে একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলা হবে, ইনশাআল্লাহ।
 
দ্বিনীয়্যাত ক্লাসও কুরআন ক্লাসের মতো কোন পাশ-ফেল নেই; বরং শিক্ষার্থীর উন্নতিই বিবেচ্য। শিক্ষার্থীদের মনোরম ও ভয়হীন পরিবেশে এগুলো শেখানোর প্রচেষ্টা করা হয়, কোনরকম অতিরিক্ত চাপ প্রযোজ্য নয়। 

অন্যান্য বিষয়


একাডেমিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুকুমার বৃত্তিগুলোকে প্রস্ফুটিত করতে অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন- আর্ট ক্লাস, সংগীত ক্লাস (দেশাত্মবোধক, গজল, হামদ-নাত ইত্যাদি), বিজ্ঞান মেলা, শিক্ষাসফর ইত্যাদি। কেননা এটা সর্বজনবিদীত যে “Exhibition is far better than memorizing”। একটি জিনিস দশবার পড়েও যেখানে মনে রাখা যায় না, সেখানে মাত্র একবার দেখলে তা স্মৃতিপটে গেঁথে যায়। এজন্য দেখে শেখার বিষয়টির (Visualization) প্রতি আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। 

তাই, আসুন, বাইয়্যিনাতেই আসুন। আপনার সন্তানকে শুধু শিক্ষা নয় বরং সুশিক্ষায় বড় করে তুলুন। আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। যে মহান উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা পৃথিবীতে এসেছি বা আমাদের প্রেরণ করা হয়েছে আপনার সন্তানকে তা থেকে দূরে সড়িয়ে রাখবেন না। আমরা পরকালের রঙে দুনিয়া রঙিন করবো, দুনিয়া নিয়ে আখিরাতকে সাজাবো। আখিরাতের অন্তন জীবনে আমরা যেন বঞ্চিত না হই এবং কাউকে বঞ্চিত না করি।

Our History

Whatever you are. Fear Allah and Avoid shirk (Do not associate anyone or anything to Allah). Never forget Him.

Stick with education, increase your knowledge, increase your intelligence, cultivate your talents, think of your Lord and surrender yourself completely to Him.

history image

Bayyinah Ideal school

ঔপেনিবেশিকতাবাদের পূর্বে ইসলামীজগত বর্তমান ইসলামীজগতের পুরোপুরি বিপরীত অবস্থানে ছিল। তখন ইসলামী সভ্যতার কাছেই ছিল সারা পৃথিবী পরিচালনার দায়িত্ব। তাদের শিক্ষাব্যবস্থা ছিল সবচেয়ে উন্নত ও বাস্তবধর্মী। তখন বর্তমানের মতো ধর্মীয় শিক্ষা ও জাগতিক শিক্ষা নামে শিক্ষাব্যবস্থার কোনো বিভাজন ছিল না। ধর্মীয় শিক্ষার সাথে সাথেই তারা পেশাগত বিদ্যাও অর্জন করতো। এজন্য তখন চিকিৎসক, গণিতবিদ, দার্শনিক, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাই  ছিলেন বিখ্যাত তাফরিদবিদ বা ধর্মবেত্তা। ইমাম গাজ্জালী (সুফি ও দর্শনিক), ফখরুদ্দিন রাজী  (জ্যোতির্বিদ, চিকৎসক ও ধর্মবেত্তা), ইবনে খালদুন (আধুনিক সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও ইতিহাসের জনক), আল-ফারাবী (মহাবিশ্বতত্ত¡বিদ, যুক্তিবিদ ও সুরকার), ইবনে রুশদ (বহুবিদ্যাবিশারদ), জাবির ইবনে হাইয়ান (রসায়নের জনক), আবুল কাশেম আল-জাহরাওবি (শৈল্য চিকিৎসার (Surgery) জনক), ইবনে হাইসাম (আলোকবিজ্ঞানের জনক), ইবনে সিনাহ (আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক) এরা সবাই দুনিয়াবী জ্ঞান-বিজ্ঞানে যেমন জগদ্বিখ্যাত তেমনি ধর্মীয় জ্ঞানেও তারা স্ব-স্ব স্থানে মহীয়ান হয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। 

‘বাইয়্যিনাহ’ নামক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ইসলামের স্বর্ণযুগের শিক্ষাব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টামাত্র। জাগতিক জ্ঞানকে বাদ দিয়ে শুধু ধর্মীয় জ্ঞান যেমন পরিপূর্ণ নয়, অনুরূপভাবে ধর্মীয় জ্ঞানকে বাদ দিয়ে জাগতিক জ্ঞানও কল্যাণকর নয়। মূলত সকল জ্ঞানই আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা থেকে উৎসারিত। কুরআনুল কারীমের একটি দু‘আর মাধ্যমেই বাইয়্যিনাহ পরিবার তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেছে : ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন এবং আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।’ (সূরা বাকারাহ : ২০১)

আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যেমে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি লাভ। অনন্ত জীবনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যই দুনিয়ায় আমাদের আগমন। আমাদের জীবনের প্রধান লক্ষ্য হবে পরকালের অনন্ত জীবনের সম্বল দুনিয়াতে সংগ্রহ করে পরকালে সফল হয়ে চিরসুখের জান্নাতের অধিবাসী হওয়া। দুনিয়াকে বাদ দিয়ে নয়; বরং দুনিয়াকে নিয়েই আমরা আখিরাত সাজাবো। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হৃদয়ে আল্লাহর নূর নিয়ে বিজ্ঞানী, দার্শনিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ইত্যাদি বিভিন্ন পেশাদারিত্বমূলক পদে নিজেদেরকে তাদের পূর্বসূরিদের মতো উজ্জ্বল করবে এই প্রত্যাশায় বায়্যিনাহ’র পথচলা। 
 

mission and vission image

উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কোমলমতি শিশুদের স্বাগতম

administration image
achivements Image

Our achievemens

 

আপনাদের দোয়া ভালোবাসাই আমাদের এচিভমেন্ট